চিয়া সিড অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। চিয়া সিডে আছে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন চিয়া সিড রাখতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা যারা ব্যায়াম করেন, তারা ব্যায়ামের ১ ঘণ্টা পর চিয়া সিড খেতে পারেন।
চিয়া সিড কী-
চিয়া বীজ হচ্ছে সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদের বীজ । এটি মূলত মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকোর মরুভূমি অঞ্চলে বেশি জন্মায়। প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির খাদ্য তালিকায় এটি অন্তর্ভুক্ত বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করে থাকেন। চিয়া সিড দেখতে কালো রঙের এবং তিলের মতো ছোট আকারের। প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে ৪৮৬ ক্যালোরি থাকে।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলো:
১. চিয়া সিডে আছে ওমেগা-৩, যা হৃদরোগের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
২. চিয়া বীজ ওজন কমাতে সহায়তা করে।
৩. চিয়া সীড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে।
৪. এটা শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৫. চিয়া সিড ব্লাড সুগার (রক্তের চিনি) স্বাভাবিক রাখে, ফলে ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমায়।
৬. চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারি।
৭. চিয়া সিড মলাশয় (Colon) পরিষ্কার রাখে, ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৮. চিয়া সিড শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) বের করে দেয়।
৯. চিয়া সীড প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে।
১০. চিয়া সীড ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে।
১২. চিয়া বীজ ক্যান্সার রোধ করে।
১৩. চিয়া সিড হজমে সহায়তা করে।
১৪. চিয়া বীজ হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।
১৫. চিয়া সিড ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম-
এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ চিয়া সিড, একটু মধু ও একটু লবণ মিশিয়ে সহজেই সরবত বানিয়ে খেতে পারেন চিয়া সিড। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন। স্বাভাবিক পানি কিংবা হালকা কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড। এরপর সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। আবার ঘুমানোর আগেও এটি খাওয়া যায়।
Weight |
1 KG ,2 KG |
---|
Reviews
There are no reviews yet.